div#ContactForm1{display: none !important;}

কবিরাজ হারুন গাজী সাহেবের শরবত (মালিবাগ বাজার)




সাধারন উপকরন গুলো হলঃ 
(মুল উপকরন)
– পানি
– ইউসুব গুলের ভুসি
– তোকমা
– বিট কুঁচি (এই বিটের কারনেই রংটা জমে উঠে)
– চিনি
(অন্যান্য উপকরণ, চাহিদা মোতাবেক)
– ডালিম
– আপেল
– কমলা
– আঙ্গুর
– খেজুর
– পিচ ফল (এটা প্রসেসড, কর্মচারীরা স্বীকার করলেন, যারা চান তাদেরই মাত্র এই ফল দেয়া হয়, যদিও এটা তারাও পছন্দ করেন না)
– এ ছাড়া অন্যান্য ফলফলাদিও দেয়া যেতে পারে, এমন কি আম কলা ইত্যাদি মিষ্টিফলাদিও দেয়া যেতে পারে।
প্রণালীঃ 
খাবার যোগ্য পানিতে পরিমানমত ইউসুব গুলের ভুসি, তোকমা, বিট এবং চিনি ৮/১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখেন এবং এর ফলেই মুল পানীয় তৈরী হয়ে যায়। আর অন্যান্য ফল ফলাদির কুঁচি পরিবেশনের সময় গ্লাসে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়েই কাষ্টমারদের পরিবেশন করা হয়।
20180713_131420
ছবি ৩; দোকান সাজিয়ে তোলাও একটা প্রচেষ্টা
20180713_131426
ছবি ৪; দোকানের মুল কর্মচারী তোফায়েল ভাই (নামটা ভুল হলে সরি), তিনিও সহজ সরল মানুষ, আমার প্রতিটা প্রশ্নের জবার দিয়ে যাচ্ছিলেন, একান্ত ভাল মানুষ হিসাবেই।
20180713_131432
ছবি ৫; বিক্রিবাটা নিয়ে কথা হল, তিনি জানালেন, প্রতিদিন প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকার বিক্রি হয়। তবে ১০ টাকার গ্লাসের গ্রাহক বেশি, ২০ টাকার কিছুটা কম, তবে এলাকায় আর এমন দোকান নেই বলে বা মান ধরে রেখেছেন বলেই মানুষ এই শরবত খেতে আসেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকেই এলাকার মানুষের ভীড় জমে। এই শরবতের হারবাল একটা উপকার আছে বলেও তিনি জানালেন। আরো জানালেন, যে কোন ব্যক্তি চাইলে ঘরেও এমন শরবত বানিয়ে পান করতে পারেন।
20180713_131502
ছবি ৬; আমার গ্লাস তৈরির পর্ব।
20180713_131513
ছবি ৭; দেখেই শান্তি।
20180713_131530
ছবি ৮; ক্লোজ আপ। শরবতের ঘনত্বই মনে রাখার মত। এই ঘনত্ব প্রতি গ্লাসে একই ধরে রাখার নামই কৌশল বা ফর্মুলা এবং এই ফর্মুলাই করিবাজ গাজী সাহেব আবিস্কার করেছেন। মানে, কত পানিতে কত ইউসুবগুলের ভুসি, তোকমা এবং বিট কুঁচি দিতে হবে তাই কবিরাজ সাহেবের ফর্মুলা!
20180713_131539
ছবি ৯; আমার হাতে শরবত! পানের আগে টাকা দিতে হয় না, পান করে ভাল লাগলেই টাকা দিতে হয়!
20180713_131827
ছবি ১০; আপনি চাইলে ওদের ফ্রীজে রেখে কিছুটা ঠান্ডাও করে নিতে পারেন, তবে যেহেতু এই শরবত সারা বছর, যে কোন ঋতুতেই পান করা হয় ফলে শুধু গরম কালের কথাই চিন্তা হয় না!
আমি এমন শরবত এই ঢাকা শহরে সদরঘাট এলাকায় আরো একবার পান করেছিলাম (তারা নোংরা ছিল, খোলা রাস্তার ফুটপাতের বিক্রেতা ছিল), তবে আমাদের মালিবাগ এলাকার এই শরবত নিজ চোখে সব কিছু দেখে পানের মজাই ছিল আলাদা, তবে এরাও আরো পরিচ্ছন্ন হতে পারত।
আমি কবিরাজ মোঃ হারুন গাজী সাহেবের আরো আরো সাফল্য কামনা করি এবং নিশ্চিত বিশ্বাস করি তিনি একদিন আরো আরো বড় ধনী হয়ে উঠবেন, চলার পথে চরিত্র ঠিক রাখতে পারলে তিনিও আমাদের আগামী দিনের বিরাট উদাহরণ হিসাবে দাঁড়িয়ে যাবেন।
সবাইকে শুভেচ্ছা। নুতন কেহ যদি এই রকম নুতন আইডিয়া নিয়ে এমন কোন ব্যবসা করতে চান তবে আসুন, আপনি ওয়েলকাম। আপনার যে কোন পরামর্শ লাগলে আমি দিব। ভাল থাকুন। আপনাদের সময় কাটুক আনন্দে।
বেকার না থেকে নিজেই এমনি একটা ব্যবসা বের করে, দাঁড়িয়ে পড়ুন। আপনার সাহস ও পরিশ্রম আপনাকে অনেক দুর নিয়ে যাবে।

Source: http://bit.ly/2vJUqId

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন